উত্তর কোরিয়ার নতুন আইসিবিএম উৎক্ষেপণ
- By Jamini Roy --
- 31 October, 2024
উত্তর কোরিয়া বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে পূর্ব উপকূলের সমুদ্রের দিকে একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণ করেছে। দেশটির সামরিক বাহিনীর তথ্যমতে, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি দীর্ঘতম সময় উড্ডয়ন করেছে এবং এটি পূর্ব সাগরের দিকে ৭টা ১০ মিনিটে নিক্ষেপ করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটিকে উচ্চ গতিপথে ছোড়া আইসিবিএম মনে হচ্ছে।”
উত্তর কোরিয়ার এই উৎক্ষেপণ দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে পারে, কারণ তারা এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেছে, এটি ‘জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক প্রস্তাবের স্পষ্ট লঙ্ঘন’।
জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল নাকাতানি বলেছেন, পিয়ংইয়ংয়ের এই ক্ষেপণাস্ত্র অতীতের যেকোনো উৎক্ষেপণের তুলনায় দীর্ঘতম উড্ডয়ন করেছে। তিনি জানান, এই ক্ষেপণাস্ত্র ৪,৩৫০ মাইল উচ্চতায় পৌঁছাতে সক্ষম, যা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উচ্চতার ১৭ গুণ বেশি।
উত্তর কোরিয়ার এই নতুন উৎক্ষেপণ এমন সময়ে ঘটছে যখন দেশটি দীর্ঘ সময় ধরে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইলের উন্নয়নে কাজ করছে, যা যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে সক্ষম হবে। কিম জং উন বলেন, এই উৎক্ষেপণ একটি উপযুক্ত সামরিক কার্যকলাপ, কারণ উত্তর কোরিয়ার শত্রুরা আঞ্চলিক পরিস্থিতি উত্তেজিত করছে।
উত্তর কোরিয়া প্রায় সরাসরি উপরের দিকে তাদের পরীক্ষামূলক মিসাইল উৎক্ষেপণ করে, যাতে মিসাইলগুলো জাপান সাগরে পতিত হয়। এটি এ বছরের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা। কিম ইতিমধ্যেই হাজার হাজার সেনাকে রাশিয়ায় প্রশিক্ষণের জন্য পাঠিয়েছেন, যা একটি নজিরবিহীন পদক্ষেপ। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েনের তীব্র নিন্দা জানান।
অস্টিন সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা আমাদের মিত্র ও অংশীদারদের সাথে কীভাবে এই বিপজ্জনক ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মোকাবিলা করবো তা নিয়ে আলোচনা করেছি।” উত্তর কোরিয়ার প্রায় ১০,০০০ সেনা মোতায়েন ইউরোপ এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে, যা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।